শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা :
২৫শে জানুয়ারী বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল চারটে ত্রিশ মিনিটে, এই খাদি মেলার শুভ সূচনা হয়ে গেল, প্রায় একশ টিরও বেশি স্টৃ এই মেলাতে স্থান পেয়েছে। এছাড়াও মেলার ভেতরে আরো প্রায় ৫০ টির মতো নিচে দোকান রয়েছে। যারা স্টল পাননি কিন্তু নিচে বসার সুযোগ পেয়েছে।এই মেলার শুভ সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে এবং দেশনায়ক মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে মাল্য দানের মধ্য দিয়ে, এই মেলার শুভ সূচনা করেন মাননীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মহাশয়। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, বিধায়ক এবং পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের সভাপতি শ্রী কল্লোল খাঁ, পশ্চিমবঙ্গ খাদী ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের মুখ্য আধিকারিক নিমাই চাঁদ হালদার, চিফ গেস্ট জনাব তাজমুল হোসেন, জনাব মুজাফফর খান ,শ্রী উজ্জ্বল প্রামানিক, পৌর মাতা শ্রীমতি মৌসুমী দাশ সহ অন্যান্যরা। এই মেলা ই ডি এফ হসপিটাল সংলগ্ন, তালতলা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে, চলবে ২৫শে জানুয়ারী থেকে ১৩ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত, প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত্রি নটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই মেলায় রয়েছে খাদির তৈরি বিভিন্ন জিনিস শাড়ি থেকে শুরু করে জামা এবং রয়েছে কারিগরি শিক্ষার,মহিলাদের হাতে তৈরি বিভিন্ন জিনিস, কাঠের উপর কাজ করা, ব্যাগের উপর কাজ করা এবং আরো অন্যান্য হাতে তৈরি জিনিস। থাকছে ১৫% কমিশন কেনাকাটার উপর। রয়েছে খাবারের দোকান, এছাড়াও থাকছে প্রতিদিন দর্শকদের মন মাতাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছোট ও মাঝারী উদ্যোগ এবং বস্ত দফতরের জিনিসপত্র পাওয়া যাবে এই মেলায়।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবং আর্থিক সহযোগিতায় এই মেলা হয়ে উঠেছে সুন্দরময়। এবং বিভিন্ন জেলায় এই মেলা করার ব্যবস্থা করেছেন। যাহাতে এলাকার মানুষ এইসব মেলায় গিয়ে তাদের পছন্দমত জিনিস কেনাকাটা করতে পারে, শুধু তাই নয় ,তিনি সাধারণ কারিগরদের এবং ছোট ছোট মহিলা শিল্পীদের অন্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
এটি অষ্টম তম বর্ষে পদার্পণ করল খাদি মেলা। দর্শকদের উদ্দেশ্যে জানান আপনারা এই মেলা পরিদর্শন করুন আসুন এবং আপনাদের পছন্দমত জিনিস কেনাকাটা করুন আপনাদের কেনাকাটার উপর নির্ভর করেই এই সকল ছোট ছোট শিল্প গুলো বেঁচে থাকবে। তাদের এগিয়ে চলার পথ তৈরি হবে।
আগের বছর এই খাদি মেলা থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার কাছে বিজনেস হয়েছে বলে খাদি দপ্তরের অধিকর্তা জানান, তিনি এবারেও আশা করছেন ,এই কয়েকদিনে আগের বছরের থেকে আরও ভালো বিক্রি হবে। এর সাথে সাথে বলেন, এখন চলছে কলকাতা বইমেলা, কিন্তু সেখানে কোনরকম কমিশনের ব্যবস্থা রাখা হয় নাই, কিন্তু আমরা এই মেলায় ১৫% সাধারণ মানুষের জন্য কেনাকাটার উপর সুযোগ-সুবিধে রেখেছি। কারণ মেলাতে যদি একটু কমিশন আর অফার থাকে তবেই মানুষ কিনতে আসবে আমাদের ধারণা, তাই আমরা ক্রেতাদের জন্য এই সুযোগ রেখেছি।